সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাশঙ্কার কথা উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনে বিএনপি–মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক ছাড়াও স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুদুজ্জামান বলেন, দল থেকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি এলাকায় গণসংযোগসহ নানা কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। মানুষের কাছ থেকেও ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। মনে হয়েছে, ভোটারদের একটা স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও ব্যক্তিগত কারণে আমি নির্বাচন করব না, আমি মনোনয়ন কিনব না। এ কারণে শহর ও বন্দরবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি একজন সমাজকর্মী হিসেবে আজীবন আপনাদের পাশে থাকব।
নিজেকে একজন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে তুলে ধরে মাসুদুজ্জামান বলেন, সবার আগে পরিবার এবং নিরাপত্তা। আমি আগেই বলেছি, পরিবার থেকে বিদায় নিয়েই রাজনীতিতে এসেছি। সেখানে তাদের কোনো বাধা ছিল না। তারা রাজি না হয়েও রাজি হয়েছে। আমি ইচ্ছা প্রকাশ করেছি মানুষের জন্য কাজ করার। সাম্প্রতিক ঘটনা ও পরিবেশ–পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্যরা অত্যন্ত ব্যথিত ও ভীত। এর বাইরেও আরও কিছু নিরাপত্তা ইস্যু আছে, সেটা আমি বিশদভাবে বলতে চাই না। পরিবেশটাই নেগেটিভ। এটি দলের নয়, আমার নিজের সিদ্ধান্ত।’
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাসুদুজ্জামান আরও বলেন, উনি (তারেক রহমান) আমাকে সম্মান দিয়েছিলেন, এটা আমি ধরে রাখতে পারলাম না। আশা করছি, দল বিষয়টি বিবেচনা করবে।
নব্বইয়ের দশকে ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতির রাজনীতি করা মাসুদুজ্জামান দীর্ঘদিন ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন। দলীয় মনোনয়নও পান।
এই আসনে মাসুদুজ্জামান ছাড়াও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন, সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ, বিএনপি নেতা আবু জাফর বাবুল। আবু আল ইউসুফ দলীয় প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের পক্ষে কাজ শুরু করলেও অপর তিনজন নির্বাচনে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন।