নুন আনতে যার পানতা ফুরায়, সেই তিনি মোহরানার আড়াই লাখ টাকা নগদে শোধ করে স্ত্রীকে তালাক দিতে গেলে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, চুরি করা টাকা দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দিচ্ছিলেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের হাকিমপুরের মংলা বাজারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মংলাবাজারের কাপড় ও মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক দু’সপ্তাহ আগে দোকান বন্ধ করে জুমার নামাজে গেলে চোরেরা তার দোকান থেকে ৭ লাখ টাকা চুরি করে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।
ঘটনার কয়েকদিন পর একই এলাকার দিনমজুর যুবক জহুরুল তার চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করে তার সঙ্গে আর সংসার করবেন না এবং মোহরানার আড়াই লাখ টাকা নগদে পরিশোধ করবেন বলে জানান।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় বাসিন্দা ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বসে তালাকের সিদ্ধান্ত নেন।
এ সময় তার স্ত্রী মিনারা বেগম কাপড় গোছানোর এক পর্যায়ে ঘরের একস্থানে মোটা অঙ্কের টাকা দেখতে পেয়ে বিষয়টি উপস্থিত লোকজনকে জানান। এ সময় তাকে মারধর করলে চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মংলাবাজারের জহুরুল (২২), সাতকুড়ি গ্রামের শাহাজুল (৩২) এবং বিলেরপাড়া গ্রামের তাইজুল (৩৫)।
হাকিমপুর থানার ওসি সুজন মিয়া বলেন, জহুরুলের কাছ থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।