গাইবান্ধার পলাশবাড়ি পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মানুষকে চাকরি ও ব্যাংকের লোন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, বাড়ি দখল, হয়রানি এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার রফিকুল ইসলাম এসব অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বলেন, গরুর খামার করার জন্য তিন কোটি টাকার লোন পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন আবুল কালাম আজাদ। তার প্রস্তাবে রাজি হলে তিনি কৌশলে ২০২২ সালের ২৫ ও ২৮ আগস্ট দুদফায় রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ২৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও লোন না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন রফিকুল। তিনি প্রায় নিঃস্ব অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। টাকার অভাবে তিনি স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এ নিয়ে প্রশাসনসহ দলের নেতৃবৃন্দের কাছে অভিযোগ জানিয়েও প্রতিকার মেলেনি। উপরন্ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন আবুল কালাম আজাদ।
৬ আগস্ট কালিবাড়ি এলাকায় ব্যবসায়ী গোলাম আজমের ৭ শতক জমিসহ বাসা-বাড়ি দখল করে নেয় আজাদ। বাড়ি হারিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ২০০৭ সালেও আজাদ জমির জন্য তার বাবাকে হত্যাচেষ্টা চালান বলে জানান ভুক্তভোগী গোলাম আজম।
এছাড়াও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
এব্যাপারে তার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শেলী বেগম, শাপলা বেগম, ও সিমা খাতুন।