ঈদুল আযহার শিক্ষা সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অনুপ্রেরণা দেয়। শুধু পশু কোরবানি করলেই দায়িত্ব শেষ হয় না, বরং নিজেকে আল্লাহর পথে আত্মোৎসর্গের মানসিকতা গড়ে তোলাই এর মূল বার্তা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী।

বুধবার (০৪ জুন) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতকানিয়া উপজেলার উদ্যোগে সাতকানিয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর অস্হায়ী কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, জনপ্রতিনিধিরা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তারা যদি কোরবানির এই ত্যাগের আদর্শকে নিজেদের জীবনে ধারণ করেন, তাহলে সমাজে ইনসাফ, দয়া ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, ইদ মানেই কেবল উৎসব নয়; এটি দায়িত্ববোধের স্মারক। কোরবানির সময় দরিদ্র জনগণের পাশে দাঁড়ানো, গরিবদের মাঝে গোশত পৌঁছে দেওয়া, পশুর হাটে শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সকলের জন্য নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করাও একজন সেবক জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব।

সভায় সভাপতির বক্তব‌্যে সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা কামাল উদ্দিন বলেন, ইসলামী আদর্শে সমাজ গঠনে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের সময় এ দায়িত্ব আরও বাড়ে। সমাজে ইনসাফ, সহযোগিতা ও সংহতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে।

উপজেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ তারেক হোছাঈন বলেন, এই মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জনগণের সেবায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছি। ইসলামী রাজনীতি মানেই মানুষের কল্যাণে কাজ করা।

সভায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শুরা সদস্য ওয়াজেদ আলী, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য রফিক উদ্দিন, আবদুল্লাহ আল নোমান, নুর হোসেন প্রমুখ।