ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ইসলামী ঐক্যজোটের দুই পক্ষের প্রতিনিধি আসায় কিছুটা হট্টগোল হয়। এ সময় সংলাপে অংশ নিতে আসা যাদের কাছে চিঠি নেই তাদের সম্মেলন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপ শুরু হয়।
সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হাওয়ার সময় ইসলামী ঐক্যজোটের একপক্ষের যুগ্ম মহাসচিব দাবি করা মইনুদ্দিন রুহি আরেক পক্ষের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের চিঠিটা ব্ল্যাকমেল করে ওনারা উঠিয়ে নিয়েছেন।’
সূত্র জানায়, সংলাপে অংশ নিতে দলটির যুগ্ম মহাসচিব দাবি করা মইনুদ্দিন রুহিসহ তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল আগেই চেয়ারে বসেন। পরে দলটির আরেক পক্ষের মাওলানা জোবায়েরসহ একটি প্রতিনিধি দল সংলাপের কক্ষে প্রবেশ করেন, যাদের কাছে ইসি থেকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্র রয়েছে। তখন কিছুটা হট্টগোলের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় ইসি সচিব যাদের কাছে চিঠি নেই তাদের সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান।
সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হওয়া অংশ থেকে মইনুদ্দিন রুহি বলেন, ‘আমাদের চিঠিটা ব্ল্যাকমেল করে ওনারা উঠিয়ে নিয়েছেন। কমিশন চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়েছে। চেয়ারম্যান যাদের প্রতিনিধি নির্ণয় করেছেন, তারা আসবেন না? চেয়ারম্যান আমাদের চিঠি দিয়ে, প্যাডের মধ্যে লিখে দিয়েছেন। ওনারা (ইসি) বলছেন চিঠি যার কাছে তারা বসবেন। এটি একটি কথা হলো। বাইরের লোকের কাছে চিঠি থাকতে পারে? চিঠিটা ডাকে পাঠিয়ে, যে কেউ চিঠিটা উঠাইতে পারেন। চিঠি যার কাছে থাকবে, সেই কি ইসলামী ঐক্যজোটের প্রতিনিধি হবে?’ —প্রশ্ন রাখেন তিনি।
মইনুদ্দিন রুহি বলেন, চেয়ারম্যান ও মহাসচিব স্বাক্ষর করে আমাদের তিনজনকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন।
ইসলামী ঐক্যজোটের এক পক্ষ সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করলে ইসি সচিব বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত অসামঞ্জস্যতা দিয়ে শুরু করার জন্য। তিতা দিয়ে শুরু করলে নাকি ভালো হয়।’