ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি থেকে চাকরিচ্যুত বৃহত্তর চট্টগ্রামের সাড়ে ৫ হাজার কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ইসলামী ব্যাংক পিএলসি লোহাগাড়া শাখার সামনে লোহাগাড়া-সাতকানিয়ার ব্যাংকার পরিবারসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
ইসলামী ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত হুমায়ুন কবির বলেন, 'আমাদেরকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একজন স্থায়ী কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করতে হলে অন্তত একটি নোটিশ প্রদান করতে হয়। আমাদেরকে একদিনের নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমরা কর্মক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ দিয়েছি এবং নিজেদের সঠিক কর্মকাণ্ড সফলভাবে সম্পন্ন করেছি।
চাকরিচ্যুত মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ বলেন, আমরা পড়ালেখা করে ও আমাদের যোগ্যতায় এই চাকরিতে অংশগ্রহণ করি। কথিত আছে এস. আলম চাকরি দিয়েছে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে এস. আলমকে কোনোদিন দেখিনি। আমার যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে ইসলামী ব্যাংকে আমার চাকরি হয়। যেভাবে বাংলাদেশের চাকরির রুলস ফলো করা হয় একইভাবে আমাদের চাকরিগুলো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি চাকরির জন্য যে ভাইবা দিলাম ওই ভাইবা বোর্ডের সদস্য ছিল ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান এমডি ওমর ফারুক খান। যিনি ভাইবা নিয়ে চাকরিতে আমাকে নিয়োগ দিলেন তিনি কীভাবে অবৈধ বলতে পারেন।
আসাদুল্লাহ বলেন, আমাদের এইচআর হেড কামাল উদ্দীন জসীম আওয়ামীলীগ সরকারের তৈলমর্দন করে বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে শেখ মুজিবের শোক দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে এবং শেখ রাসেল ও জয়ের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আওয়ামীলীগ আমলে তিনবার প্রমোশন নিয়েছিল। এরপর ৫আগস্টের পরে সে বড় বুজুর্গ সেজে গেল।
চাকরিচ্যুত মো. করিম বলেন, যেভাবে আমাদেরকে টার্মিনেশন করা হয়েছে সেভাবে আমাদের চাকরি ফেরত চাই। বর্তমান অবৈধ ম্যানেজমেন্ট তারা নিজের চেয়ারকে বাঁচানোর জন্য ও তাদের অপরাধ জাতির সামনে না আসার জন্য আমাদেরকে অবৈধভাবে টার্মিনেশন করা হয়েছে।
চাকরিচ্যুত ব্যাংক কর্মকর্তাদের অভিভাবকদের পক্ষে সেলিম উদ্দিন বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সন্তান হওয়ার কারণে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ইসলামী ব্যাংক পিএলসির অবৈধ ম্যানেজমেন্ট অবৈধভাবে টার্মিনেশন করা হয়েছে। চাকরিচ্যুত করার কারণে অনেক পরিবারের অভিভাবকরা স্ট্রোক ও মৃত্যুবরণ করেছে আবার অনেকে হতাশায় ভুগছেন। এছাড়াও অনেকের বয়স চলে যাওয়ায় নতুন করে চাকরি নেওয়ার সুযোগ নাই। এভাবে কাউকে চাকরিচ্যুত করা স্বৈরাচারীরই লক্ষণ।