বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, আনোয়ারা-কর্ণফুলী একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এ এলাকাকে ইসলামের জন্য উর্বর ময়দান হিসেবে তৈরী করতে হবে যুবকদের। আমরা সংখ্যায় এখন কোনভাবেই কম নয়। আল্লাহর উপর ভরসা করে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ হয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সমাজের মানুষের জন্য কাজ করে দাঁড়িপাল্লায় জোয়ার তুলতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদর যারা নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল তারা আজ নিজেরাই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু জামায়াত তাদের সেই কাঙ্ক্ষিত জায়গায় এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীর নির্বাচনে নৌকা আর থাকবে না। এদেশের রাজনীতিতে হাসিনা আর ফিরবে না।
শনিবার (২৩ আগস্ট) মাগরিবের পর উপজেলার ডায়মন্ড পার্কে জামায়াতে ইসলামীর যুব ও ক্রীড়া বিভাগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ আসনে জামায়াত যোগ্য প্রার্থী দিয়েছে। চট্টগ্রাম -১৩ এর গুরুত্বপূর্ণ এ ময়দানের অভিভাবক অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরীর নেতৃত্বে সেই কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জনে যুবকরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আব্দুল গণির সভাপতিত্বে উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি আতিক জামালীর সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম-১৩ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর এদেশের মানুষ কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা পায়নি। এদেশের যুবকরা ফ্যাসিবাদকে ধ্বংস করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। নতুন করে কেউ যদি ফ্যাসিবাদি হতে চায় তাহলে যুবকরা তা সমুলে ধ্বংস করে দিবে। আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ হবে। সেই নতুন বাংলাদেশে যুবকরাই নেতৃত্ব দিবে।
সম্মেলনের প্রধান বক্তা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রাটারি অধ্যক্ষ বদরুল হক বলেন, সৎ যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ উপহার দেবে জামায়াতে ইসলামী।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক, ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল মোস্তাফা, দক্ষিণ জেলা যুব বিভাগের সভাপতি এড. আবু নাছের, কর্ণফুলী উপজেলা জামায়াতের আমীর মাস্টার মুনির আফসার চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আবুল হাসান খোকা, সহকারী সেক্রেটারি (বাইতুলমাল) মাস্টার শহীদুল্লাহ্, সহকারী সেক্রেটারি নাছির উদ্দীন শাহ্, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দীনসহ উপজেলা জামায়াত ও যুব বিভাগের নেতৃবৃন্দ।