পুনর্গঠন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন

নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন ধরে ইসি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে আসছিল।

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন অনিবার্য। তাদের ভাষ্য, ‘বি’ অপশন নয়, ইসি অবশ্যই পুনর্গঠিত হবে।

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সিইসির একান্ত বৈঠক হয়, যেখানে ইসি পুনর্গঠনের বার্তা তাকে জানানো হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর পরদিন শুক্রবার থেকে সিইসি অফিসে অনুপস্থিত। যদিও ইসি সচিব জানিয়েছেন, তিনি চিকিৎসাধীন। তবে ইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে এ নিয়ে কৌতূহল দেখা দেয়, অনেকেই এটিকে ‘পলিটিকো অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সিকনেস’ বলেও অভিহিত করছেন।

বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর, রাষ্ট্রপতির মনোনয়নে। তৎকালীন সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন সিইসি হিসেবে এবং আরও চারজন সদস্য নিয়োগ পান। তারা ২৪ নভেম্বর শপথ নেন। এর আগে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন ইসি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে, যারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করেছিল। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় আসে, যা আট মাস পর গণ-অভ্যুত্থানে পতনের মাধ্যমে শেষ হয়।

এনসিপিসহ একাধিক দল দাবি করে, বর্তমান কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা নেই। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে একটি নিরপেক্ষ ও পুনর্গঠিত ইসি প্রয়োজন, এবং সরকার সেই পথে এগোচ্ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

0Shares