
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় ২০ ড্রাম পাঙ্গাশ মাছ ও টমটম গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগে বিএনপির প্রয়াত সংসদ সদস্য মজিবুর রহমানের ছেলে মফিজুর রহমান সুমনকে (৪৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে মাছ ব্যবসায়ী আবু তাহের (৭৫) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সূত্র জানায়, বাজিতপুর উপজেলার শোভারামপুর গ্রামের মৎসচাষী আবু তাহের গত রবিবার ভোরে নিজের পুকুর থেকে ধরা ২০ ড্রাম পাঙাশ মাছ বিক্রির জন্য একটি টমটম গাড়িতে কটিয়াদীর চরিয়াকোনা স্বনির্ভর বাজারে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি বাজিতপুর বাজারের পাশের একটি সেতুর কাছে পৌঁছালে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সুমন তাদের গতিরোধ করেন এবং চালক ও তাহেরকে নামিয়ে দিয়ে তারা মাছভর্তি যান ছিনিয়ে নেন। ছিনতাইয়ের পর তাহের স্বনির্ভর বাজারে পৌঁছান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন সুমন ও তার সহযোগীরা মাছ বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কটিয়াদী থানা পুলিশ সুমনকে আটক করে।
আবু তাহের বলেন, বাজারে যাওয়ার সময় কয়েকজন গাড়ি থামানোর ইশারা দিয়েছিল। গাড়ি থামানো পর আমরা দেখতে পাই সাবেক এমপির ছেলে সঙ্গে রয়েছেন। কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তারা গাড়িতে ওঠেন এবং আমাকে ধমক দিয়ে চলে যেতে বলেন। তারাও গাড়ি নিয়ে চলে যান।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, মফিজুর রহমান সুমনকে মাছ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আমরা আটক করি। যেহেতু ঘটনাস্থল বাজিতপুর থানা এলাকায়, সে কারণে অভিযুক্তকে বাজিতপুর থানা পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলা হওয়ার পর মফিজুর সুমনকে আদালত কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এব্যাপারে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মাছ লুটের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমানের ছেলে মফিজুর রহমান সুমন আটক হয়েছেন এ কথা জেনেছি। মফিজুর রহমান সুমন বিএনপি কিংবা অঙ্গ সংগঠনের কোনো পদে নেই।