মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ির দৌরাত্ম্য : এক মাসে ৬ দুর্ঘটনা

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বড় বাস এবং বাইকের অতিরিক্ত গতি, নিষিদ্ধ অটো রিকশা, সিএনজি, ইজিবাইক, থ্রি হুইলার সহ বিভিন্ন যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল দুর্ঘটনার অন‌্যতম কারণ। এসব অবৈধ লাইসেন্সবিহীন তিন চাকা গাড়ির বিরুদ্ধে প্রশাসনের তেমন নজরদারি নেই।

মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং দুর্ঘটনা এড়াতে নিষিদ্ধ যানবাহন সিএনজি, অটোরিকশা, থ্রি হুইলার, বাইক সহ রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস এবং লাইসেন্সবিহীন গাড়িগুলো আইনের আওতায় আনা হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের দোহাজারী, কেরানীহাট, পদুয়া বাজার এবং লোহাগাড়া স্টেশনে তিন চাকা গাড়ির যানজট প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে। বেশিরভাগ চালকদের ন্যূনতম অভিজ্ঞতা নেই। হুট করে মহাসড়কে উঠে পড়ে অটো রিকশা ও সিএনজিগুলো। এছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে এলোমেলো দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করতেও দেখা যায়। স্টেশনেই ইচ্ছামতো উল্টো পথে গাড়ি চলাচল করে। ট্রাফিক বক্সের সামনেই বেপরোভাবে চলছে এই গাড়িগুলো অথচ ট্রাফিক পুলিশ থেকেও নেই।

মহাসড়কে আরেক আতঙ্কের নাম মিনিবাস ঈগল পরিবহন। ট্রাফিক পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ট্রাফিক বক্স সংলগ্ন কেরানীহাট স্টেশনে প্রতিনিয়ত রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করে এই পরিবহন।

জানা যায়, গত এক মাসে মহাসড়কের ছয়টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, মামলা হয়েছে দুটি। দোহাজারী হাইওয়ে থানায় জব্দ রয়েছে মোটরসাইকেল একটি, শ্যামলী পরিবহন একটি, ঈগল পরিবহন একটি।

এদিকে প্রায় তিন মাস যাবৎ অসুস্থ থাকায় ছুটিতে রয়েছেন কেরানীহাট ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) নুরে আলম সিদ্দিকী, ফলে কেরানীহাটের ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। দায়িত্বরত সার্জেন্ট, কনস্টেবলরা কোন রকমে ঢিলেঢালা ভাবে ডিউটি শেষ করছেন। এদিকে সার্জেন্ট মাহফুজের নামে রয়েছে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ।

এ বিষয়ে কেরানীহাট ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) নুরে আলম সিদ্দিকী অসুস্থতার কারণে তিনি ছুটিতে রয়েছেন জানিয়ে বলেন, লোকবল সংকটের কারণে সমস্যা হচ্ছে। সার্জেন্ট টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি অবগত নয়।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, মহাসড়কে প্রতিনিয়ত আমাদের টিম টহলরত রয়েছে। অবৈধ গাড়িগুলোকে নিয়মিত মামলা দিচ্ছি, কেরানীহাট, পদুয়া, লোহাগাড়ার বাজার সমিতি যেগুলো রয়েছে তাদের সাথে আমরা কথা বলছি। যাতে মার্কেটের সামনে সিএনজি অটোরিক্সা গাড়ি দাঁড়াতে না পারে। যানজট নিরসনে স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথেও কথা বলেছি।

0Shares