
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দোসর ও চিহ্নিত চোর আব্দুল মজিদকে ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শরিফ ও উপজেলা বিএনপির সদস্য রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রেরও প্রতিবাদ জানানো হয়।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে বড়দল ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের ধর্মতলা মোড়ে স্থানীয় গ্রামবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল গফুর গাজী, পাপিয়া খাতুন, আবু হাসান ও নবাব আলীসহ অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বড়দল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম মন্টুর হস্তক্ষেপে এলাকার চিহ্নিত চোর ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ আব্দুল মজিদকে ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাকিমকে ভোট না দেওয়ায় মজিদের নেতৃত্বে তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও এলাকা ছাড়া করা হয়েছিল। অথচ টাকার বিনিময়ে তাকেই ওয়ার্ড সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। পদ পাওয়ার পর গত ১১ আগস্ট মজিদ তার দলবল নিয়ে পার্শ্ববর্তী আব্দুল গফুরের জমি দখলের চেষ্টা চালায়। গত ৫ আগস্টের পর মন্টুর ইন্ধনে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িসহ বিভিন্ন বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এছাড়া অভিযোগ করা হয়, মন্টুর নির্দেশে নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা রবিউল ইসলামকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেন, অথচ নুরুল ইসলামকে বক্তারা ‘মাদকসেবী’ বলে দাবি করেন।
মানববন্ধনে মন্টুর হস্তক্ষেপে গঠিত কমিটি বাতিল করে নতুন সার্চ কমিটির মাধ্যমে ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন এবং দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচি শেষে প্রায় তিন শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে মন্টু ও নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঝাঁটা মিছিল বের করা হয়।