বান্দরবানের লামায় বিদ্যুতের অস্বাভাবিক লোডশেডিং, ভূতুড়ে বিল এবং বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে লামা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লামার সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে এই কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ বিভাগের অব্যবস্থাপনা, ঘন ঘন লোডশেডিং, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল এবং গ্রাহক হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
এ সময় এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থার চরম অবনতির জন্য সম্প্রতি কক্সবাজারের রামু থেকে লামায় বদলি হয়ে আসা আবাসিক প্রকৌশলী গৌতম চৌধুরীকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রতিবাদসভায় বক্তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার করুণ দশা তুলে ধরে বলেন, লোডশেডিংয়ের নামে লামায় দৈনিক ১৫-১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। যা জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিদ্যুতের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এ ছাড়া ভূতুড়ে বিল ও নানা অনিয়ম নিয়ে বক্তারা বলেন, কক্সবাজারের রামু থাকাকালীন বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী গৌতম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তার বিরুদ্ধে সেখানেও মিছিল, মিটিং ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিল ভুক্তভোগীরা। বর্তমানে তাকে লামায় বদলি করার পর থেকেই লামার বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় সমস্যা বাড়ছে।
বক্তারা অবিলম্বে লামা উপজেলায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা, ভূতুড়ে বিল প্রদান বন্ধকরণ ও বিদ্যুৎ বিভাগের সব অনিয়ম বন্ধের দাবি জানান।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভায় বক্তব্য দেন স্থানীয় সমাজকর্মী ও সাংবাদিক মো. কামরুজ্জামান, মো. মিজান,মো. দুলাল, আরিফুল ইসলাম এবং মো. শামসুল হক সহ প্রমুখ।
জানতে চাইলে আবাসিক প্রকৌশলী গৌতম চৌধুরী জানান, আমার অফিসের স্টাফ সালাউদ্দিনকে অনিয়মের দায়ে বরখাস্ত করি। তাই সে এলাকার লোকজন নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমি প্রতিদিন যে পরিমান বিদ্যুৎ বরাদ্দ পাই এলাকায় সঠিক ভাবে সরবরাহ করি। এখানে অনিয়মের কিছুই নেই।