ইসলামি মূল্যবোধসম্পন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামিক জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিজা)-এর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (০১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের ওয়েস্টন রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করা, পেশাগত অধিকার রক্ষা ও ইসলামি আদর্শে উজ্জীবিত সাংবাদিক প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সাধারণ সভায় সংগঠনের সভাপতি ও যুগান্তর’র সহ-সম্পাদক মাওলানা তোফায়েল গাজালি স্বাগত বক্তব্যে ঢাকাসহ বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে নতুন কমিটি গঠন, সদস্য বৃদ্ধি, নিজস্ব ওয়েবসা ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়তা বৃদ্ধি, নিয়মিত বৃদ্ধিবৃত্তিক প্রকাশনা, সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে মানববন্ধন এবং মাসিক সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও আলোকিত বাংলাদেশ’র সহ-সম্পাদক মুফতি মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ’র সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কালের কণ্ঠ’র সহ-সম্পাদক মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা, সহ-সভাপতি ও প্রথম আলো’র কলাম লেখক শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী এবং সবার খবর ডটকম,র সম্পাদক মাওলানা আবদুল গাফফার।
বক্তারা সদস্যদের পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার, পেশাগত সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ইসলামি মূল্যবোধসম্পন্ন সাংবাদিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আউটসোর্সিংকে যথাযথভাবে মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব এবং মুসলিম সমাজের সামাজিক অধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকারও আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগান্তরের সহ-সম্পাদক মুফতি তানজিল আমির, অর্থ-সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ, ক্যারিয়ার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মুফতি আফজাল হুসাইন, জাগো নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সহ-সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক ফেরদৌস, যুগান্তরের প্রতিনিধি মাওলানা মুহসিন আল জাবির, বাংলাদেশ প্রতিদিনের কলাম লেখক মাওলানা আবদুল্লাহ আলমামুন আশরাফী, আইডিয়াল টাইমসের সম্পাদক মাওলানা মাঈনুদ্দীন ওয়াদুদ, ৩৬ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিউজরুম এডিটর নূরে আলম সিদ্দিকী এবং রেডিও ফানির উপস্থাপক মুফতি মাহমুদুল হক জালিস।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা সম্মিলিতভাবে ইসলামের নামে অপপ্রচার, ইসলাম ও মুসলমানদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী সংবাদ পরিবেশন ও দেশবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং হারানো মুসলিম ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, শিগগিরই কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে কার্যকরী কমিটি পুনর্গঠন, কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ এবং সংগঠনের গঠনতন্ত্র নবায়ন করা হবে।