
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নায়কদের নিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য এবং অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা সারজিস আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় জেলা পাবলিক লাইব্রেরিতে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা ব্যানারে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রনেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানান।
এতে মূল বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাতুল নাহিদ ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ফজলুর রহমান আমাদের অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করে আমাদের সন্ত্রাসী বলার চেষ্টা করছেন। এটা আমাদের শঙ্কিত করছে। আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে দাবি জানাচ্ছি তিনি যেন ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেন। অন্যথায়, যদি ভবিষ্যতে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়, তাহলে তার দায় বিএনপিকেই নিতে হবে।
রাতুল আরও বলেন, উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা এ কারণে আমি পূর্বঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করেছি। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে তাকে কিশোরগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। ছাত্র-জনতা তখন যেকোনো কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে।
সারজিস আলমের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাকে সামান্য ইস্যুতে উদ্দেশ্যমূলক হয়রানি বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি, ন্যারেটিভ বানিয়ে আমাদের হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা ছাত্র-জনতা প্রস্তুত আছি সব সময়। কেউ যেন মনে না করে আমরা ঘরে ফিরে গেছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন, সদস্য সচিব মো. ফয়সাল প্রিন্স, ওয়ারিয়র্স অফ জুলাই’র মুখপাত্র মানস সরকার উৎস, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াজ ইবনে জসিম, যুগ্ম সদস্য সচিব শামসুর রহমান, সদস্য আরিফুল ইসলাম রাফি, সদর উপজেলা শাখার যুগ্ম মুখ্য সংগঠক তামিম ইকবাল, সদস্য মিয়াদ, ইটনা উপজেলা শাখার সদস্য সচিব দেলোয়ার নেওয়াজ ভূঁইয়া, সরকারি মহিলা কলেজের সদস্য সচিব নুহা, সদস্য রওজা, মাইশা প্রমুখ।
তারা সকলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলার সাবেক নেতৃবৃন্দ।