‘টর্চার সেল’-এ নির্যাতন চালানো সেই ছাত্রদল নেতা সহযোগীসহ গ্রেফতার

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় চাঁদাবাজি ও মারপিটের অভিযোগে করা মামলায় ছাত্রদল নেতা হিজবুল আলম ওরফে জিয়েন ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হিজবুলের দুই সহযোগী হলেন রাফি (১৯) ও আবদুল্লাহ (২০)।

সোমবার (১১ আগস্ট) পৃথক অভিযানে বানিহালা ইউনিয়নের পৃথক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় হিজবুলের একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে নির্যাতনের বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র ও নন–জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত ছাত্রদল নেতা হিজবুল আলম ওরফে জিয়েস বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে ও একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। তবে তাকে দলীয় পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছে ময়মনসিংহ জেলা উত্তর ছাত্রদল। গতকাল রাতে এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রকাশিত হয়।

মামলার বাদী ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসম্পাদক মামুন সরকার জানান, ৮ আগস্ট মাঝিয়ালি বাজারে এক দোকানদারের কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন হিজবুল। একপর্যায়ে ওই দোকানিকে মারধর করে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে দোকানটি খোলার ব্যবস্থা করে দেন মামুন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পরদিন (৯ আগস্ট) মামুনকে মারধর করেন হিজবুল।

তারাকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা লিটন চন্দ্র পাল মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হিজবুলের কোনো তৎপরতা দেখা না গেলেও গত বছরের আগস্টের পর বানিহালা ইউনিয়নে ব্যাপকভাবে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেন তিনি। মাঝিয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নিজের একটি মাছের খামারে ‘টর্চার সেল’ তৈরি করেন। সেখানে দেশি অস্ত্র প্রদর্শন ও আটক ব্যক্তিদের মারধরের ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ওই আস্তানায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে আটকে রেখে মুঠোফোনে ভিডিও করে কিংবা নন–জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখতেন হিজবুল। নির্যাতনের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে স্বীকারোক্তি নিতেন যে তারা হিজবুলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন তালুকদার বলেন, ‘ছাত্রদলের ওই নেতার (হিজবুল) সম্পর্কে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। তাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

0Shares