বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টীম সদস্য অধ্যাপক জাফর সাদেক বলেছেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ১৪-২৮ জুন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক পক্ষ ঘোষণা করা হয়েছিল। এ উপলক্ষে আপনারা কার্যক্রম শুরু করেছেন। কিন্তু এবারের সাংগঠনিক ও বায়তুলমাল পক্ষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংগঠন সম্প্রসারণের পাশাপাশি সকল স্তরে বায়তুলমাল বিভাগকে সমৃদ্ধ করতে হবে। সংগঠনের মজবুতি অর্জনের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে নিয়মিত প্রোগ্রামাদি নিশ্চিত করতে হবে। কর্মীর মান উন্নয়নে নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
বুধবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক এর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর ড. হেলাল উদ্দীন মুহাম্মদ নোমান, জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মুহাম্মদ জাকারিয়া, এডভোকেট আবু নাছের, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা কামাল উদ্দীন, নুরুল হক, মাওলানা আবুল ফয়েজ, অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাঈল হক্কানী, ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল মোস্তফা, আরিফুর রশীদ সহ উপজেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি বলেন, আগামী বছরের শুরুতেই সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছে ইন্টেরিয়াম সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগেই দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচার সম্পন্ন করার আহবান জানাচ্ছি। রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন হলে আমাদের নির্বাচনমুখী তৎপরতা বৃদ্ধি করা দরকার। এবারের নির্বাচনে সবকটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। সুতরাং বিজয় নিশ্চিত করতে প্রার্থীদের সফর বাড়ানো প্রয়োজন। আর কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটির পাশাপাশি পাড়া বা মহল্লা ভিত্তিক নির্বাচনী ইউনিট গঠন করে যুবসমাজকে কাজে লাগাতে হবে। জনগণ জামায়াতে ইসলামীর প্রতি যে আস্থা রেখেছেন সে আস্থার মূল্যায়ন করতে হবে। মানুষের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীদের পৌঁছানোর ব্যবস্থা করলে সকল আসনে বিজয় সুনিশ্চিত হবে, ইনশাআল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রীয় দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জনের লক্ষ্যে অধস্তন শাখার সকল পর্যায়ে উর্ধ্বতন শাখাসমূহের সফর নিশ্চিত করতে হবে। আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচন উপলক্ষ্যে এমপি প্রার্থীদের নিয়ে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গণসংযোগ অব্যাহত রাখতে হবে।