
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগকে ‘প্রতিহিংসা, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র’ জানিয়ে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এমদাদুল হক বাদশা ও তার মেয়ে তাসমিনা হক (নিম)। এ সময় তার পরিবারের সদস্যসহ যুবদলের বিভিন্ন স্তরের সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এমদাদুল হক বাদশা বলেন, “১২ জুলাই আমাকে জাতীয়তাবাদী যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাকে কোনো কারণ জানানো হয়নি, আমার বক্তব্য নেওয়া হয়নি, এমনকি কোনো নোটিশও পাঠানো হয়নি।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “তথাকথিত একটি তদন্ত টিমের রিপোর্টের ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে দখলবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কখন হয়েছে, রিপোর্ট কখন জমা পড়েছে- আমাকে কিছু জানানো হয়নি।”
এমদাদুল হক বাদশা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, “কোনো থানায়, আদালতে বা সংগঠনের রেকর্ডে যদি আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বা দখলবাজির কোনো অভিযোগ প্রমাণ করা যায় আমি আজীবনের জন্য রাজনীতি ছেড়ে দেবো।”
তিনি দাবি করেন, এ সিদ্ধান্ত একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার এবং তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তৈরি হওয়া জনপ্রিয়তাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বড় ছেলে মিসবাহ উল হক, ছোট ছেলে মিরাজ উল হক, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, সাবেক সহ-অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক মিন্টু, সাবেক সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শেখ কামাল আলম, সাবেক শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন জিতু, যুবদল নেতা সাব্বির ইসলাম ফারুক, ইসমাইল হোসেন লেদু, মোহাম্মদ সেলিম, মোঃ হাসান, মোঃ আব্দুল জলিল, জাবেদুল হক, মোঃ ওসমান গনি, সাদ্দামুল হক, মোঃ আলমগীর, মোহাম্মদ রাসেল করিম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এমদাদুল হক বাদশা বলেন, “আমি বিনীতভাবে আহ্বান জানাচ্ছি, এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। যাতে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হয় এবং আমার পরিবার ও দলের সম্মান রক্ষা পায়।”