
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে দুই কলেজ ছাত্রকে অপহরন করে দুইলক্ষ টাকা মুক্তিপনের দাবীর অভিযোগ উঠেছে চার যুবকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত যুবকরা হলেন- নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি জয়নন্দনকোট গ্রামের এজাবুল হকের ছেলে মহব্বত আলী (২৭), একই গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে পলক ওরফে ইমন (১৮), কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কেশবা কসাই পাড়া গ্রামের মাজু মিয়ার ছেলে ফজলে রাব্বী ডিসপ্লে (৩০) ও সীটরাজিব বাদিয়ার মোড় পশ্চিম পাড়া গ্রামের ছব্বুল ইসলামের ছেলে ইয়ামিন (২০)।
গত শুক্রবার (০৮ জুলাই) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের বাড়ীমধুপুর পাগলার বাজার এলাকার আনছারুল ইসলামের ছেলে কিশোরগঞ্জ বিএম কলেজের ছাত্র আকাশ ইসলাম ও তার ভাগিনা জলঢাকা সরকারি কলেজের ছাত্র ফজলে রাব্বী রুপক ফ্যানের ক্যাপাসিটার আনতে কিশোরগঞ্জ বাজারে যায়। এসময় তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় আসলে তাদেরকে পূর্বপরিকল্পিত অনুযায়ী অভিযুক্তরা আটক করে হাসপাতালের পিছনের গলির দিকে নিয়ে যায় এবং তাদের ব্যবহৃত মটরসাইকেল ও দুটি স্মাট ফোন কেড়ে নেয়। পরে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। মুক্তিপনের টাকা দিতে না পারায় মারডাংসহ ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন।
আকাশের পিতা আনছারুল ইসলাম বলেন- ঘটনার দিন আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনে রংপুরে ছিলাম। বাড়িতে যোগাযোগ করার জন্য ছেলে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফোন বন্ধ থাকায় সন্দেহ হলে আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি এবং আমার পরিবারের লোকজনদের ছেলে এবং ভাগিনাকে খোঁজাখুজি করতে বলি।
তিনি আরো বলেন- পথিমধ্যে রাত ১০টায় খবর পাই দুরাকুটি পশ্চিম পাড়া নালার পাড় এলাকায় বাঁশঝড়ের মধ্যে মানুষের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে আইয়ুব আলী নামের এক পথচারী সঙ্গে থাকা সহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় কয়েকজন বাঁশঝোপের দিকে যায়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালানোর সময় মহব্বত আলী নামে একজনকে ঘটনাস্থল থেকে তারা আটক করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে থানায় নিয়ে আসে। এসময় অপহৃতদের আহতাবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করান।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধৃত যুবককে জেলহাততে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অন্যান্যদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।