আটঘরিয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় ধস

পাবনার আটঘরিয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় ধস নেমেছে। ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষায় আটঘরিয়ায় ১৬ টি মাদ্রাসায় ২২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ১০৩ জন, পাশের হার ৪৫%। কোনও মাদ্রাসায় ১ বা ২ জন করে পাশ করেছে।

সচেতন অভিভাবকদের অভিযোগ, অধিকাংশ মাদ্রাসার অধিকাংশ শিক্ষক প্রায়ই শিক্ষাদান বাদ দিয়ে বিভিন্ন মিছিল-মিটিং, সমাবেশ ও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার কারণে এমন ফলাফল হয়েছে।

সদ্যঘোষিত ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, গোড়রী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসিয়া ১৯ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন, দেবোত্তর দাখিল মাদ্রাসার ১৮ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জন, কদমডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার ১০ জনের মধ্যে মাত্র ২ জন, অন্য একটি মাদ্রাসায় ১৮ জনের মধ্যে তিনজন, রামেশ্বরপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ১৫ জনের মধ্যে ৪ জন, মাজপাড়া আলিম মাদ্রাসা ১৬ জনের মধ্যে ৪ জন, চান্দায় রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১২ জনের মধ্যে ৬ জন, ধলেশ্বর দাখিল মাদ্রাসায় ১৬ জনের মধ্যে ৬ জন, চৌবাড়ীয়া তোয়াজউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার ১৫ জনের মধ্যে ৭ জন, জুমাইখিরি মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ১০ জনের মধ্যে ৪ জন, সেকেন্দারপুর মহিলা মাদ্রাসার ৯ জনের মধ্যে ৪ জন, বাওইকোলা ইয়াকুবিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১৫ জনের মধ্যে ৮ জন, চৌকিবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার ১৭ জনের মধ্যে ৭ জন, রোকনপুর দাখিল মাদ্রাসার ১৬ জনের মধ্যে ১০ জন, নাদুরিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১৯ জনে ৮ জন, শিবপুর ত্বহা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৩৮ জনের মধ্যে ১৫ জন।

সর্বমোট দাখিল পরীক্ষার্থী ২২৯ জনের মধ্যে পাস করেছে ১০৩ জন। বেশি খারাপ ফলাফল গোড়রি, দেবোত্তর ও কদমডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার এবং তুলনামূলক ভালো ফলাফল রোকনপুর, বাওইকলা ও চান্দায় দাখিল মাদ্রাসার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদ্রাসা ছাত্রী বলেন, আমাদের ক্লাস নিয়মিত হয় না, স্যাররা প্রায়ই ক্লাস বাদ দিয়ে অফিস আদালত ও সভা-সমাবেশে যায়।

স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি জানান, আমরাতো কেউ মাদ্রাসায় থাকি না, শিক্ষক কখন কোথায় কি করে কেমন করে জানবো? দাখিল পরীক্ষার ফলাফল দেখে বোঝা যাচ্ছে মাদ্রাসার শিক্ষকরা অধিকাংশ সময় রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ঠিকমত ক্লাস হয় না, এ জন্যই ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে।

0Shares